ইমাম হাসান ৷
' ইয়ুথ এন্ড সোশ্যাল ফিচার' শিরোনামে জল রঙে আঁকা ছবি। যেখানে শিল্পী ফুটিয়ে তুলেছেন ইরাক-ইরান যুদ্ধের ভয়াবহ একটি চিত্র। আর তারই পাশে একদ্ল তরুণ যুবক আলোর দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে যোদ্ধাদের ৷ এমনি একটি ছবি এঁকে সম্প্রতি
বাংলাদেশের শিক্ষার্থী হাসান মোর্শেদ জয় করে এনেছেন সেরা পেইন্টিং আযাওয়ার্ড ৷ বিশ্বের ২১টি দেশের ২২ জন্ প্রতিযোগী এবং ইরানের ২৫০ জন শিল্পী অংশ নেন এই আয়োজনে ৷ ইরানি যে মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ইরানের গোরগানে ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর
অনুষ্ঠিত হয় সারা দেশের তরুণ চিত্রশিল্পীদের নিয়ে ভিজুয়াল আর্ট কম্পিটিশন ৷ ১৮তম এই আয়োজনে বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত হন হাসান মোর্শেদ। তিনি বলেন, 'ইরান কালচারাল সেন্টারে ছবি পাঠানোর পর কয়েক শ ছবির ভেতরে তারা আমার ছবিটি নির্বাচন.করে
মূল প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য আমাকে আমন্ত্রণ জানায়। ছটবেলা থেকেই আঁকি বুকি করে মনের ভাব প্রকাশ করতেন হাসান মোর্শেদ। বাবার কাছেই হাতেখড়ি ছিল ছবি আঁকার স্কুলে যাওয়ার আগেই ছবির হাত পাকা হয়ে ওঠে তার । সাদা খাতা দেখলেই তাতে দাগ
দিয়ে ভরে তুলতে ভীষণ ইচ্ছা করত সব সময় ৷ তবে ছবি আকতে ভালোবাসা এই ছেলেটির কোনো নিষেধও ছিল না ছবি আকায় ৷ 'আর তাই হয়তো এমন একটু-আধটু ছবি আকা শিখেছি। আমার কাছে ছবি আকাই একমাত্র শখ এবং নেশা ।'
বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রাচ্যকলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী হাসান মোর্শেদ । মোর্শেদের স্কুল ও কলেজ কেটেছে খিলগাও সরকারি হাইস্কুল ও সিদ্ধেশ্বরী কলেজে । তবে ছবি আকায় আলাদা টানের কারণেই ভর্তি হন চারুকলায়।
করেছেন বেশ কিছু নিজের আকা ছবির প্রদর্শনী । তবে এবারের পুরস্কারটা হাসানের মনে আলাদা এক সে সৃষ্টি করেছে। শুধু কি পুরস্কার? ছয় দিনের এই ইরান ভ্রমণে হাসান পেয়েছেন নানা দেশের ভাষা, শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পর্কে অনেক ধারণা ।
নিজের দেশকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন আফ্রিকা থেকে আমেরিকার নানা দেশের তরুণের সঙ্গে । নিজেও পেয়েছেন নতুন নতুন ধারণা । মোর্শেদ বলেন, "সেরা পুরস্কার ঘোষণার আগে বেশ ধড়ফড় করছিল বুকটা ৷ ঘোষণা শুনেই তা আরও বেড়ে গেল্চি
বাংলাদেশ শব্দটি নিজের নামের সঙ্গে উচ্চারিত হওয়ায় মনটা ভরে উঠল। মনে হলো, ছবি একেও নিজের দেশকে সারা বিশ্বে পরিচিত করানো যায়।” 05/10/2011 ঢাকা সংস্করণ ০8 30